ভর্তি প্রার্থীকে অবশ্যই প্রকৃত আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের আক্বীদা-বিশ্বাস ও মানহাজের অনুসারী হতে হবে।
ব্যবহারিক জীবনে ইসলামের অত্যাবশকীয় বিধি-নিষেধ পালনের ক্ষেত্রে কোন ধরণের শিথিলতা থাকা চলবে না। সাথে সুন্নাতে রাসূল (সা) ও উন্নত চরিত্র গঠনের প্রতি সর্বোচ্চ যত্নবান হতে হবে।সব ধরণের কবীরা গুণাহমুক্ত জীবনে অভ্যস্ত হয়ে সগীরা গুণাহ থেকে সতর্কভাবে বেঁচে থাকতে হবে।
ব্যক্তিগত চলাফেরা, আচার-আচরণ ও সামাজিক চরিত্র দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপযোগী হতে হবে। পোষাক-পরিচ্ছদ, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, সাজ-সজ্জা ও দাড়ি-চুল অবশ্যই সুন্নাত অনুযায়ী হতে হবে।
জামেয়ার অভ্যন্তরে নিয়মতান্ত্রিক ক্লাসে উপস্থিত থাকা, ক্লাসওয়ার্ক-হোমওয়ার্ক নিয়মিত আদায় করাসহ জামেয়ার পক্ষ থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালনের প্রতি সর্বদা যত্নবান থাকতে হবে।
ছাত্রদের প্রতিভা বিকাশ ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আন-নাদী আস সাকাফীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সাপ্তাহিক, মাসিক ও বিভিন্ন উপলক্ষভিত্তিক অনুষ্ঠানমালা এবং দেয়ালিকা প্রকাশ ও প্রতিযোগিতা ইত্যাদীতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতে হবে।
জামেয়ার লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের পরিপন্থি অথবা জামেয়ার সুনাম নষ্ট হয় এমন কোন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করা যাবে না।
জামেয়ার ছাত্রদের জন্য অবসর সময়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে জামেয়ার সুপরিসর মাঠে শরীর চর্চামূলক নির্দোষ খেলাধুলার সুযোগ রয়েছে। তবে বাইরে কোথাও গিয়ে খেলায় অংশগ্রহণ করা বা টেলিভিশন, মোবাইল, ইন্টারনেট অথবা বাইরে গিয়ে খেলা দেখা দণ্ডনীয় অপরাধ।
জামেয়ার ছাত্র থাকাকালে অনুমতি ছাড়া অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া বা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে না। অন্যথায় তার ভর্তি বাতিল করা হতে পারে।
জামেয়ার ছাত্রাবাস ও খাদ্য বিভাগের যাবতীয় নিয়ম-কানুন মেনে চলতে বাধ্য থাকবে।
জামেয়ার ভেতরে বা বাইরে কারো সাথে কোন ধরণের ঝগড়া-ঝাটি, মারামারি ইত্যাদীতে জড়িত না হওয়া। এরকম কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে জামেয়ার যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। এবং কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে চুড়ান্ত হিসেবে মেন নিতে হবে।
জামেয়া্র ক্যাম্পাস সম্পূর্ণ রাজনীতিমুক্ত। তাই কোন ছাত্র কোন রাজননৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারবে না। জামেয়ার নির্দেশনার বাইরে গিয়ে কোন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশেও অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
মোবাইল, ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে জামেয়ার নীতিমালা মেনে চলতে বাধ্য থাকবে।
জামেয়ার সাথে যাবতীয় আর্থিক লেনদেন সময় মত সম্পাদন করতে হবে।
দেশের প্রচলিত আইন ও সমাজবিরোধী কোন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকতে পারবে না।
জামেয়ার প্রশাসন ও সম্মানিত শিক্ষকমণ্ডলির প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য প্রদর্শন করতে বাধ্য থাকবে।
আমি উপরোক্ত নীতিমালা ধীরে, সুস্থ-মস্তিস্কে পড়েছি এবং স্বজ্ঞানে মেনে চলার অঙিকার করছি।